সেই ছোট থেকেই ‘চলুন বেড়িয়ে আসি’ দেখলেই আমার মন উড়ু উড়ু হয়ে যেত। যাত্রাপথে বেড়ানোর খুঁটি-নাটিতে ডায়রির পাতা ভরে উঠতো উৎসাহের আতিশয্যে। সেই অভ্যাস পিছু ছাড়েনি এই বয়সেও। অনেক বছরের ইচ্ছেকে বাস্তব করে যখন গত বছর লাদাখ-এর (Ladakh) প্ল্যানটা হল, ঠিক করে রেখেছিলাম এই ইতিহাস লিখে যাওয়ার প্রয়োজন আছে। একে বিয়ের পর বরের প্রথম প্রতিশ্রুতি রক্ষা, তারপর আবার বহুকাঙ্খিত অভিযান। লাদাখ-এর হাই অলটিটিউডে অক্সিজেন দিয়েছিল লাদাখ (Ladakh) বেড়ানোর ডায়রি। আমার খাতার পাতা ভাঁজ খুলে মেলে ধরছি সকলের কাছে, মানসযাত্রা শুভ হোক।
কিস্তি ১
29 আগস্ট, 2017
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামবে নামবে করছে। আমি মাঝ আকাশে। ফ্লাইটের ভিতর আছি কিন্তু মন উড়ছে বাইরে। সকাল সকাল অফিস গিয়ে হাফ ডে করে এয়ারপোর্টে যাওয়ার প্ল্যান টা ক্যান্সেল করেছিলাম আগেই। কি লাভ স্বপ্নের ট্রিপ-এর আগে বেকার রিস্ক নিয়ে! একটু দেরি করে ঘুম থেকে উঠে ল্যাদ ও বেরিয়ে পরার আলহাদ একসঙ্গে মিশিয়ে রেডি হওয়ার মজাটাই আলাদা। তারপর লাস্ট মিনিট ছড়ানোয় আমার জুড়ি জগতে কম মিলবে। এতদিনে কাছের বন্ধু-বান্ধবরা জেনে গেছে লাদাখ-এ আমার হানিমুন প্ল্যান টা নানান চাপে অচিরেই ক্যানসেল হয়েছিল। তারপরও বার কয়েক খাতা পেন নিয়ে বসেও প্ল্যান বাতিল হওয়ার পর বিয়ের বছর দুই পরে বন্ধু সহযোগে সেই ড্রিমল্যান্ডের পথে পাড়ি দেওয়া। আমি আর অর্ক ছাড়া সঙ্গে আছে আরও 4 বন্ধু, 6 জনে মিলে এ বাড়ি, ও বাড়ি, এ ক্যাফে, ও রেস্তোরাঁয় বসে মিটিং করে এই ট্রিপ ফাইনাল হয়েছে। ভিস্তারা-র হপিং ফ্লাইট। দিল্লিতে রাতে হল্ট। ওড়ার আগে ও কিছু পরে জানলার কাঁচ-এ ক্যামেরা তাক করে ম্যান্ডেটরি মেঘ ও সিটিগ্রাফি কমপ্লিট করেছি। খাবার দাবার ও আড্ডা জমেছে অল্প অল্প। টারবুলেন্স আর মেঘ রোদ্দুরের রোম্যান্সে আমার কানে তালা লাগছে প্রায়শই। তবে মনের জানলা হাট করে খোলা। লাদাখ, রাত পেরোলেই।
ইয়ে দিল্লি হে মেরি ইয়ার, বাস ইসক মুহাব্বত প্যায়ার-দিল্লি গেলেই এই ক্লিশে লাইনটা আমি গুনগুন করে উঠি। অর্কর সঙ্গে প্রথম বেড়াতে যাওয়ার স্মৃতি মনে পড়ে যায়। হানিমুন প্লেস নিয়ে ওই যেমন নস্টালজিয়া থাকে আর কি! ঘড়িতে সন্ধে সাড়ে সাত টা। 12 ঘন্টা একটা এয়ারপোর্ট-এ কাটানোর এক্সপেরিয়েন্স আগে হয়নি। তবে সব কিছুরই তো শুরু আছে। আর শুরুটা যে সুখের হল না মোটেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। খুব আশায় আশায় এসেছিলাম লাউঞ্জ-এ রাত কাটাব। অনেককে এলিট ক্রেডিট কার্ড-এর এই সুবিধাটার কথা বড়াই করে শুনিয়েও এসেছি। ফুড, ব্রেভারেজ খাব, মজাসে থাকব সেইসব ভাবতে ভাবতে আসা। আর আসার পরই সব আশায় জল ঢালল ভিস্তারা। শুনেছিলাম লাগেজ থাকবে ওদের জিম্মায়। কিন্তু সে গুড়ে বড় বড় পিঁপড়ে ছড়িয়ে গেল আমাদের লাগেজগুলো আমাদের হাতেই তুলে দেওয়ায়। কনভেয়ার বেল্ট থেকে লাগেজ নিয়ে আর আরাইভাল-এ ফেরার চান্স নেই, আর তখনও আশা লাউঞ্জে সহজেই ঢুকে পরা যাবে এবার। কিন্তু জানা গেল লাউঞ্জের একসেস পেতে হলে পরের ফ্লাইটটিতে চেক-ইন করা প্রয়োজন, আর একসেস-ও দুই থেকে 4 ঘন্টার বেশি নয়। কাল সকালের ফ্লাইটের চেক-ইন আজ হবার নয়। অগত্যা ডিপার্চার-এ এসে আপাতত শিকারির চোখে আধশোয়া হওয়ার মতো রিলাক্সড চেয়ার শেয়ার করে জীবনে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। চারিদিকে ক্লান্ত ঘুমন্ত মুখ দেখছি। আমার চেয়ারটা থেকে রাস্তা দেখা যাচ্ছে। পার্কিং, ফ্লাইওভার, গাড়ির আলো, এসব দেখেই রাতটা কেটে যাবে টুক করেই। বুকের ভিতর অনেক উত্তেজনা ঘাপটি মেরে আছে। এইসব ছোট ছোট ইনকনভেনিয়েন্স ওদের গলা টিপতে পারবে না মোটেই।
30 আগস্ট, 2017
সকাল 6 টা 57 মিনিট। ঘুমটা সেভাবে হয়নি। খুট-খাট, দ্রুম-দড়াম এ যেমন হয় তেমনটাই। সকাল সকাল-ই লাগেজ জমা দিয়ে ঢুকে পড়েছিলাম ডিপার্চার-এ। তাড়াতাড়ি ঢুকলেও হেঁটে প্লেন অবধি পৌঁছতে টি-থ্রি-তে সময় লাগে বেশ! ফ্লাইটে উঠে ফাইনালি লে ফিল-টা এল। আর মাত্র এক ঘন্টায় সেই বহু প্রতীক্ষিত মরুভূমির বুকে পা রাখব ভেবেই রীতিমতো শিহরণ হচ্ছে। দিল্লি টু লে ফ্লাইটে ডানদিনের জানলার ধারটা নেসেসিটি। পছন্দের সিট-এ বসে মেঘের আড়াল থেকে বরফে ঢাকা পাহাড়ের উঁকি চোখ সরাতে দেয় না। ব্রেকফাস্ট জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু বাইরের খেলা দেখেছি। চোখ রেখেছি জানালা, ভিউফাইন্ডার আর মোবাইলের ক্যামেরায়। মেঘ বাধ সেধেছে মাঝে মাঝেই। কিন্তু লে নামার আগে 5-10 মিনিট বাইরে থেকে চোখ সরেনি এতটুকুও। টেক্সচার, কালার, ডেপথ-এর সঙ্গে মিলে মিশে গেছে মেঘ, বরফ, নদীর রেখা। এমন কিছু আগে কখনো দেখিনি। স্বপ্ন সত্যি হতে দেখার মতো এই অনুভূতি লিখে বোঝানো অসম্ভব। দেখতে হলে উড়তে হবে।
ফ্লাইট কিসক বাকুলা রিনপোচে লে এয়ারপোর্টে নামলো সময়ের চেয়ে দেরিতেই। আকাশ মেঘলা ছিল, টারবুলেন্স-এর সঙ্গে টুপটাপ বৃষ্টিও। নেমে এয়ারপোর্টের রূপ দেখে আর বাসে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য আমি অনায়াস দেখে যেতে পারি। এয়াটপোর্ট থেকে বেরিয়ে হোটেল আসতে সময় লাগল মিনিট কুড়ি। বেশ সুন্দর রাস্তা। তবে ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর মেঘলা আকাশ সঙ্গী হল আমাদের। আজ এমনি থাকবে ওয়েদার। এক্যু তাই বলছে। অর্ক নীল আকাশ দেখতে পাচ্ছে না বলে হাপিত্যেস করছে। আবার এটাও বলছে লাদাখ-এ বৃষ্টি আর মেঘ দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ে কাল একটু মেঘ সরলে বাঁচি। যদিও আমরা বাকি 5 জন নভিস। যা দেখতে পাচ্ছি তাতেই মন পেখম তুলে নাচছে। আজ এমনিতেই আকাস্টমড হওয়ার দিন। মাথা ঝিম ঝিম, হালকা নিঃশ্বাসের কষ্টের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে গোটা ট্রিপ-এর জন্য তৈরি হওয়ার তোড়জোড়। আমাদের হোটেল-এর নাম হিমালায়ন রেসিডেন্সি, মালিক সোনম অর্কর পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সেই আমাদের সমস্ত পারমিট ও অন্যান্য হোটেল-এর ব্যবস্থা করেছে। আমাদের 3 টে ঘর ফার্স্ট ফ্লোর এ, জানলার পর্দা সরালে সবুজ ঝোপ, পাহাড় আর মেঘের দেখা। অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় মতো এখানেও বেসমেন্ট-এ ঘর আছে। আমরা ফ্রেশ হয়ে হোটেল এর গরম গরম ডাল, ভাত, তরকারি লাঞ্চ করে দু পা হেঁটে এলাম। চারপাশ টা বেশ মনোরম, পাহাড়ে ঘেরা। সোজা বাঁদিক ঘেঁষে তাকালেই দেখা যায় লে প্যালেস। ছোট ছোট বসতি এদিক-ওদিক, পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে দল বেঁধে চলে যাওয়া রোড ট্রিপিং বাইকের আওয়াজ নীরবতা ভাঙে।
সন্ধে 7 টাতেও এখানে আলো। দুপুরে ঘুমের মধ্যে নীল আকাশ দেখা দিল কিনা দেখতে মাঝে মাঝেই চোখ মেলেছি। বিছানায় শুয়ে শুয়ে পাহাড়ের গায়ে রোদ পড়া, মেঘ সরে নীলের উঁকি ঝুঁকি চোখ বুজতে দেয়নি খুব বেশি। 5 টা বাজতেই জানলা খুলে বাইরে তাকিয়ে থেকেছি একা একাই। ক্যামেরা তাক করেছি এদিক-ওদিক। তারপর পাহাড়ের মাথার সাদা বরফে হলুদ কমলা নীলচে রঙের খেলায় একটা অনবদ্য সূর্যাস্ত সকালের মেঘলা মন কেমন এক নিমেষে সরিয়ে দিয়েছে। এত কাছ থেকে পাহাড়ের মাথায় বরফের রং বদলানো দেখাও এই প্রথম।
সন্ধের পর সবান্ধবে আড্ডা জমেছিল বেশ। অর্ক অন্ধকার হতেই যদিও ট্রাইপড ক্যামেরা নিয়ে আর এক রাউন্ড ছাদ-এ গিয়ে টপাটপ তারাদের ছবি তুলে এসেছে। কাল আবার সকাল সকাল বেরোনো। লে সফর। শুনলাম আমাদের ড্রাইভারের নাম ফুনগসুক। ওয়াংরু কিনা সেটা ড্রাইভারকেই জিগেস করবো ঠিক করলাম। ডিনার এখানে তাড়াতাড়ি, হোটেল-এর ডিনার স্প্রেড থেকে খাবার খেয়ে আড্ডা চললো আরো খানিকক্ষণ। তারপর লেপের তলায় সেঁধিয়ে যেতে কার না ভালো লাগে।
31 আগস্ট, 2017
সকাল সকাল রেডি হয়ে গাড়ির জন্য ওয়েট করছিলাম। ফুনগসুক বাবু তখনও পৌঁছননি। খবর নিয়ে জানা গেল কোথায় কোনো একটি গাড়ি খারাপ হওয়ার জন্য বিপত্তি। ফুনগসুক-এর বদলে অন্য কেউ আসছে। সে এল প্রায় সাড়ে 10 টায়। ততক্ষণ আমরা আশপাশটা হেঁটে ঘুরলাম। রওনা দিয়ে লে বাজার পেরোতেই বুঝলাম এখানে ছবি যতই তুলি কম মনে হবে। এতটাই সুন্দর চারপাশটা একদিকে তাকিয়ে থাকলে অন্যদিকটা মিস হয়ে যায়। প্রথমেই গেলাম হল অফ ফেম। এটি লাদাখ-এর ইতিহাস, ইন্দো-চীন, ইন্দো-পাক যুদ্ধের বিবরণ, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র, সিয়াচেন বেস ক্যাম্প-এর ভিডিও, ছবি এইসব নিয়ে একটা মিউজিয়াম। ভিতরে ভাড়া দিয়ে ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে কোনো লাভ নেই। বরং বাইরেটা অনেক মনোরম। বাইরে একটা চিলড্রেন পার্ক আছে। পাহাড়ে ঘেরা পার্ক। এয়ারপোর্ট-এর কাছে হওয়ায় প্লেন উঠতে নামতে দেখা যায়।
আজ অর্ক লোভ সামলাতে না পেরে বাইক নিয়েছে। আমি অন্যদের সঙ্গে গাড়িতে। এরপর গিয়ে পৌঁছলাম ম্যাগনেটিক হিল। ম্যাগনেটিক ব্যাপারটা মিথ না সত্যি অজানা। অনেকেও বলে এ পাহাড়ে চুম্বকের মতো আকর্ষণ আছে, তবে তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। ম্যাগনেটিক হিল পৌঁছনোর পথে যে অপূর্ব রাস্তা আর পাহাড়ের গায়ে মেঘের খেলা দেখেছি তা দেখলেই একমাত্র অনুভব করা সম্ভব। ম্যাগনেটিক হিল-এ ম্যাগনেটিক ফিল পরোখ করে দেখার জন্য এক বিশেষ ধরনের স্কুটার ভাড়া পাওয়া যায়। আমাদের সঙ্গীরা সেই স্কুটার চড়ে ঘুরে এসে জানালো মোটেই কোনো চুম্বকীয় আকর্ষণ নেই পাহাড়ে। আমরা দুজন ম্যাগনেটিক হিল এ না চড়ে ভাড়া করা রয়্যাল এনফিল্ড-এ দুবার রাস্তাটা চক্কর লাগিয়ে এলাম। ওতেই আমার কী ভীষণ আনন্দ! বাইকে চড়লে তো 360 ডিগ্রি ভিউ। মাথা যেদিকে ঘোরাই শুধুই পাহাড় আর আকাশ। যাই হোক ওই 5 মিনিট বাইক চড়ার সুখ বুকে নিয়েই আবার গাড়িতে চড়লাম।
এবার গন্তব্য সঙ্গম। এখানে সিন্ধু আর জানস্কার নদী একে অপরের সঙ্গে মিলেছে। সে কারণেই নাম সঙ্গম। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে বেরিয়ে আছে নদীর বাঁকা পথ। উপর থেকে দেখলাম সঙ্গম-এ ওয়াটার রাফটিং-ও হচ্ছে। ওপর থেকে ভিউ দেখার পর গাড়ি ঘুরে ঘুরে নীচে নামল। কাছ থেকে আরও সুন্দর। দুটো নদীর রং একটু মন দিয়ে দেখলে আলাদা করে চেনা যায়। কিন্তু সঙ্গম-এ সর্বক্ষণ বালি ওড়ে। নদীর হওয়ায় উড়তে থাকা বালিতে চোখ মুখ খুলে রাখা দায়। সঙ্গম-এর ছোট্ট ক্যাফেতে লাল চা খেয়ে তড়িঘড়ি উঠে পড়লাম গাড়িতে। রাফটিং-এর ইচ্ছে থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনায় সেই ইচ্ছেয় জল ঢালতে হল। এরপর গাড়ি চললো পাথার সাহেব গুরুদুয়ারার উদ্দেশ্যে। আমাদের আজ গুরুদুয়ারাতেই লাঞ্চ-এর প্ল্যান। আমি প্রথমবার লাঙ্গার-এ খাওয়া। পাথার সাহেব পৌঁছে দর্শন করে হালুয়া মুখে দিয়ে ঢুকে পড়লাম লাঙ্গার-এ। খেয়ে নিজের থালা নিজেকে মেজে তো দিতেই হয় লাঙ্গার-এ। তারপরেও সেবার জন্য আমরা সবাই মিলে হাসি-ঠাট্টা করতে করতে রসুন ছাড়ালাম, বিনস কাটলাম। এ সময় বাইরে একটু বৃষ্টিও হয়ে গেল। বৃষ্টি থামতে বেরিয়ে পড়লাম আবার।
এবার লে প্যালেস। সেই একই পথ দিয়ে ফেরা। লে প্যালেস-টা আমাদের হোটেল-এর কাছে। বাজার সংলগ্ন এলাকায়। পৌঁছে দেখলাম নামেই প্যালেস। মেন্টেনেন্স-এর অভাবে অনেক কিছুই নষ্ট হয়েছে। তবে প্যালেস থেকে লে শহরটাকে দেখতে দারুণ লাগে। নীচে ছোট ছোট বাড়ি, দোকান পাট, মনেস্ট্রি আর উপরে পাহাড়ের কোলে নীলাকাশ, দুধ সাদা মেঘের দল, চোখ জুড়োনো একেবারে। প্যালেস-এর ভিতরে পুরোনো পুঁথি, রাজাদের ছবি, একটু খুঁজে দেখে ঘুরলে একটা পুরোনো মন্দিরও দেখতে পাওয়া যাবে। তবে গাইড করার কেউ নেই। নিজে নিজে দেখে বেরিয়ে পড়তে হয়। লে প্যালেস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার পর থেকেই একটু টায়ার্ড লাগছিল। গলা ব্যথা, জ্বর-জ্বর। শুরুতেই ধ্যারালাম কিনা তাই নিয়ে টেনশন চলছিল ভিতর ভিতর। এরপর যাওয়ার কথা শান্তি স্তূপা। কিন্তু যাওয়ার রাস্তায় সামনে একটি লরি খারাপ হয়ে যাওয়ায় আর এগোনো গেল না। নিজেরা আলোচনা করে ঠিক করলাম আর ঘুরপথে না গিয়ে প্যানগঙ থেকে ফেরার পথে দেখে নেওয়া হবে শান্তি স্তূপা। ড্রাইভারটাও যেতে নিমরাজিই ছিল, আমাদের সিদ্ধান্তে খুশিই হল। এখানে বুঝলাম বিকেল গড়িয়ে সন্ধের জায়গা নেই, আলো কমে এলে কাজ করতে চায় না এরা মোটেই!
আরো কিছু লেখা:
লাদাখ ভ্রমণের প্রথমাংশ জানার জন্য click করুন এখানে।
লাদাখ ভ্রমণের দ্বিতীয়াংশ জানার জন্য click করুন এখানে।
লাদাখ ভ্রমণের তৃতীয়াংশ জানার জন্য click করুন এখানে।
লাদাখ ভ্রমণের চতুর্থাংশ জানার জন্য click করুন এখানে।
লাদাখ ভ্রমণের পঞ্চমাংশ জানার জন্য click করুন এখানে।
Follow me on Facebook & Instagram.