দার্জিলিং- এখানে খাদ, পাহাড়, রেলিং, রাস্তা, ভুতুড়ে হোটেল, তস্য গলির দোকান, সবটাই আমার খুব প্রিয়, খুব আপন। দার্জিলিং প্রথম গিয়েছিলাম অনেক ছোটবেলায়, মা-বাপি আর নামমার সঙ্গে ট্যুর গ্রুপ-এর বাস-এ চড়ে। সেই প্রথম পাহাড় দেখা আর প্রথম পাহাড়ের প্রেমে পড়া এই দার্জিলিং-এই। প্রথম প্রেম যেমন মনে থেকে যায়, সেই নিয়মেই আমার মনে দার্জিলিং-এর আলাদা জায়গা। যত বড় হয়েছি ওল্ড ওয়াইন-এর মতো সে প্রেম বেড়েছে। ডুয়ার্স, গ্যাংটক বা ভুটান যখন যেখানে গেছি, মন বলেছে একবার টুক করে দার্জিলিং-এর মুখটা দেখে নিলে হতো! ইচ্ছে হলেও উপায় যে সবসময় হয়েছে, তা নয়।
বার বার দার্জিলিং চলে যেতে আমার কখনো আপত্তি হয় না। কিন্তু এই বার বার যাওয়ার মধ্যে একটা বিশেষ যাওয়া আছে যেটা আমার মনে থেকে যাবে। সেটা বিয়ের পর পোস্ট ওয়েডিং শ্যুট করতে যাওয়া। বিয়ের আগেই জানতাম আমার বর মানে অর্ক-র দার্জিলিং-এর প্রতি আলাদা টান আছে। আমাদের সুতীর্থ দা, যিনি আমাদের বিয়েতে ছবি তুলেছেন, তারও দার্জিলিং-টান। তো তিনজনের টান মিলে ঠিক হল আমাদের একটা পোস্ট ওয়েডিং শ্যুট হবে দার্জিলিং-এ। আমাদের দুজনের প্রথম একসঙ্গে দার্জিলিং যাওয়াও হবে। উত্তেজনায় ঘুম হল না কদিন। 2015-এর বর্ষায় ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলা হল, কিন্ত সে বার পাহাড়ে ধসের চোটে প্ল্যান ধসে গেল। মন কেমন নিয়ে প্রায় 1টা বছর পর করে 2016-এর মার্চ-এ আমরা পাহাড় গেলাম, সাঙ্গপাঙ্গ সমেত।
ভাগ্যক্রমে যাওয়ার টিকিট সব কনফার্ম পাওয়া গেলেও, ফেরার দুটো ছাড়া বাকিগুলো ওয়েটিং হল, কিন্তু পরোয়া না করে আমরা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে চড়ে বসলাম ট্রেনে। গল্প আড্ডায় পৌঁছে গেলাম নিউ জলপাইগুড়ি। সেখানে ব্রেকফাস্ট ছেড়ে গাড়ি বুক করে সোজা দার্জিলিং। সেবক রোড হয়ে যখন গাড়ি ছুঁটছে প্রতিবারের মতো পাহাড় দেখার আনন্দে মন ভরপুর। মেঘেদের নেমে আসা, বাঁকে বাঁকে পাহাড়ি জীবনের ছবি দেখতে দেখতে আমরা পৌঁছে গেলাম চৌরাস্তা। সেখানে গাড়ির ভাড়া মিটিয়ে ট্রলি হাতে এগোলাম ম্যালের দিকে। এখানে বলে রাখি আমরা কিন্তু হোটেল বুক করে যাই নি। আর সেই প্রথম আমার তেমন এডভেঞ্চার সফর। সুতীর্থ দা-র চেনা জানা আছে, সেই ভরসাটাই তখন যথেষ্ট। ম্যালে পৌঁছে প্রথমেই খোঁজ নিতে ঢোকা হোটেল চ্যালেট-এ। সেখানে 1 টি ঘরই অবশিষ্ট। তবে আশ্বাস পাওয়া গেল একদিন অন্য কোথাও ম্যানেজ করে নিলে পরদিন সেখানে জায়গা পাওয়া যাবে। এরপর ঢোকা হল Pineridge Hotel -এ। সেখানে প্রাথমিক না শুনলেও দল ভারি দেখে ঘর পাওয়া গেল। দোতলায় ঘর, সিঁড়ি ভেঙে লম্বা প্যাসেজ ধরে হেঁটে যেতে হয়, কেমন গা ছমছমে ভাব। আমি ভীতু মানুষ, ঘর অব্দি যাওয়ার আগেই ভয় লাগতে শুরু হল। বিশাল ঘর, লম্বা কাঁচের জানলা, গোল সোফা, কাঠের কারুকাজ করা ড্রেসিং টেবিল, ফায়ার প্লেস, ঘরের মতো বড় বাথরুমের এক ধরে বিশাল বাথ টাব, কিন্তু সেটা ব্যবহারের কোনও ব্যবস্থা নেই। আছে অনেক কিছুই কিন্তু অযত্নের ছাপ স্পষ্ট। আমরা ফ্রেস হয়ে নিলাম।
ছবির জন্য একটা ড্রেস এনেছিল সুতীর্থ দা, এদিকে আমার নিয়ে যাওয়া জুতোর সঙ্গে সেই ড্রেস মানানসই না। সেই চিন্তা মাথায় নিয়েই বেরোলাম। এই দিনটায় ছবি তোলা নেই, খাওয়া-দাওয়া আর ঘোরা। সুতীর্থ দা ততক্ষণে আমার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে ওই হোটেলে ভুত আছে। আমরা গ্লেনারিজ-এ ঢুকে পড়লাম। সেখান থেকে বেরিয়ে হেঁটে বেড়ানো। আকাশ মেঘলা, কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা দেবে বলে মনে হয় না। মহাকাল মার্কেটে ঢুকে পড়ে জামার সঙ্গে মানানসই জুতো একটা পেয়ে গেলাম ভাগ্যক্রমে। রাতে Joey’s Pub হয়ে, পাশের রেস্টুরেন্ট লোটাস-এ খেয়ে আমরা হোটেল-এ ফিরলাম। পাইনরিদজ তখন আরও গা ছমছমে। বৌদি আর আমি দুজনেই ভীতু তাই বাকিদের বেশ মজা হল আমাদের নানাভাবে ভয় দেখিয়ে। যতক্ষণ ঘুম এলো না, ততক্ষণ ভয় চেপে ধরল, আলো জ্বালিয়ে ঘুমালাম।
পরদিন প্রথম শ্যুট। সকাল থেকেই আড়ষ্টতা গ্রাস করতে শুরু করেছে আমায়। এসে তো পড়েছি, কিন্তু পোজ দেওয়া কি আর চাট্টিখানি কথা! লজ্জার মাথা খেয়ে রোম্যান্টিক পোজ দেব যখন ঠিক করে গেছি তখন একটাই শর্ত ছিল, জনসমক্ষে এসব পারব না। তাই একটু নিরিবিলি জায়গার সন্ধান করা যাবে এমনিই ঠিক ছিল। সেই জন্যই ছবি তোলার জন্য দার্জিলিং গিয়ে অনেক নতুন জায়গার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। সচরাচর দার্জিলিং বেড়াতে গেলে সেসব জায়গায় আমরা যাই না। হোটেল-টাই এত ভিন্টেজ সেখানেই পুরো শ্যুট সেরে ফেলা যায় কিন্তু তাতে দার্জিলিং-এর মাহাত্ব হারায়।
বাইরে বেরিয়ে দেখলাম মেঘলা কিন্তু রোদও আছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার মুখ দেখার চান্স নেই। শিরশিরে হাওয়া দিচ্ছে থেকে থেকেই। ব্রাঞ্চ সেরে হাঁটতে হাঁটতে ঠিক হয়েছিল মহাকাল মন্দিরে ছবি তোলা হবে। দার্জিলিং গিয়ে মহাকাল মার্কেটে ঢুঁ মারলেও মহাকাল মন্দির অবধি যাওয়া হয়নি এর আগে কখনো। যদিও সুতীর্থ দার মুখে এ জায়গার গল্প আগেই শোনা। ম্যাল থেকে ভিউপয়েন্ট যাওয়ার রাস্তায় বাঁ হাত সিঁড়ি উঠে গেছে মহাকাল মন্দিরের পথে। অনেক সিঁড়ি। আর একটু ওঠার পর থেকেই হাওয়ার পতপত লাল-নীল-হলুদ-সবুজ পতাকার সারি। শিব মন্দির কিন্তু বুদ্ধিস্ট ছাপ স্পষ্ট সেখানে। উঠতে একটু কষ্ট হলেও চারপাশ বেশ মনোরম। খাদের ধারের রেলিং, চোখ তুলে তাকালে পাহাড়, দূরে চার্চের মাথা, ঘন হয়ে দাঁড়ানো গাছের দল, সবই ছবির মতো সুন্দর। জায়গাটা ফাঁকা, লোকাল লোকজনই বেশি। ট্যুরিস্ট-রা তেমন নেই বললেই চলে। প্রথম দেখাতেই এ জায়গা ভালো লাগতে বাধ্য। ছবি তোলার পাশাপাশি সিঁড়িতে বসে পড়ে আড্ডা গল্প সবই হল।
শেষ দুপুরে হোটেল-এ ফিরলাম। একটু ফ্রেশ হয়ে চেঞ্জ করে আবার বেরোনো। গন্তব্য দার্জিলিং স্টেশন। তৈরি হয়ে বেরিয়ে দেখি সুতীর্থ দা হোটেলের মধ্যেই একটা দারুন স্পট খুঁজে পেয়েছে। আমরা যেদিকে আছি তার অন্য প্রান্তে। এদিকে এই হোটেল টায় সবার সঙ্গে হাঁটলেও আমার গা ছমছম করে। কেমন যেন গভীর একটা নিস্তব্ধতা ছেয়ে আছে। গেলাম সেদিকে। ওপর থেকে নিচে তাকাতেই দেখলাম সুন্দর বাগান, খুব যে যত্নে আছে এমন না, কিন্তু সুন্দর। সবুজ ঘাসের বিছানা, পাহাড়ি ফুলের গাছ, শেওলা ধরা সিঁড়ির গায়ে গায়ে নানা রঙের বুনো ফুল, বিশাল গোলাপ গাছের নিচে ঝরে পড়া পাপড়ি….এসবের মাঝেই একপাশে একটা পরিত্যক্ত বাথ টব, যেটা দেখে আমি শিউরে উঠলাম। কিছুই নেই, কিন্তু জিনিসটা কি বেমানান। গা ছমছমে ভাবটা ফিরে এলো আবার।
সুতীর্থ দা আমায় আর অর্ককে নীচে বাগানে নেমে যেতে বলল। আমি তখন একা যেতে হবে এই আতঙ্কেই দিশেহারা। মনে হচ্ছে ঘুরতে এসেছি, ঘুরে ঘরের বউ ঘরে ফিরি, ছবি টবি না হয় নাই হল। কিন্তু, ধমক খেয়ে নামতে হল। পোজ হল না, ছবি হল কটা। বাগানের পাশে একটা কাঠের পরিত্যক্ত বাড়ি। কেউ যায় না বলেই মনে হল। সেখানেও যেতে বলল। কি জ্বালা। আমার চোখ-মুখের অবস্থা দেখেই বোধয় সুতীর্থ দা রণে ভঙ্গ দিয়ে বলল, ‘চ, সান সেট-এর টাইম হয়ে যাচ্ছে।’ আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। দার্জিলিং স্টেশনে গিয়ে মন ভালো হয়ে গেল। স্টিম ইঞ্জিনের সামনে ওড়না উড়িয়ে ছবি উঠল। মেঘলা আকাশে সূর্যাস্ত দেখলাম। এই দিনের মতো প্যাক আপ হল সাধের পোস্ট ওয়েডিং শ্যুট-এর।
পরদিন লম্বা প্ল্যান। গাড়ি বুক করে জোরপোখড়ি হয়ে মানেভঞ্জন যাব। ঘুম ভাঙতেই দেখলাম বেশ মেঘলা আকাশ। আগের দিন রাতে খুব কুয়াশা ছিল। ম্যালে দাঁড়িয়ে ভালো করে দেখা যাচ্ছিল না কাছের লোকজনকেই। কিন্তু সকালটাও যে এমন হবে আশা করিনি। যত সময় পেরোতে লাগল আরও ঘনিয়ে এল মেঘ। আমরা গ্লেনারিজ-এ খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম গাড়ি নিয়ে। গাড়ি খানিকটা যাওয়ার পরই মেঘ নেমে আসতে শুরু করল হু হু করে। আমার তখন কাঁদো কাঁদো মুখ। মানেভঞ্জন-এ ভিউপয়েন্ট থেকে কিছু দেখা যাবে বলে মনে হয় না। এই দিনেই প্রকৃতিকে এমন বাঁধ সাধতে হল!
বেশ ঠান্ডা পড়েছে। মনে হবে না মার্চ মাস। শিরশিরে জোলো হাওয়া দিচ্ছে সারাক্ষণ। ঠান্ডা কাঁপিয়ে দিচ্ছে। ঝিরঝিরে বৃষ্টিটাও নেমে পড়ল এবার। একটা বাঁক ঘুরতেই সুতীর্থ দার চোখ আটকে গেল পাইনে ঘেরা একটু উঁচুতে একটা খোলা জায়গায়। আমরা চটপট নেমে পড়লাম, ঝমঝমিয়ে নামার আগে যা ছবি হয়, তাই পাওনা। সবার গায়ে সোয়েটার, জ্যাকেট, এদিকে আমি ড্রেস-এর কারণে সেসব গায়ে দিতে পারছি না। একদিকে শীতে কাঁপছি অন্যদিকে নায়িকার মতো লাগছে নিজেকে। যাই হোক, মেঘ কুয়াশার চাদর জড়িয়ে, ছাতা উড়িয়ে ছবি উঠল। এই ছবিটা ওঠার পরই ঝমঝমিয়ে নামল। আর আমরা দৌঁড়ে ঢুকে পড়লাম গাড়ির ভিতরে।
সেদিন সারাদিনের সব ছবিই বৃষ্টির সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে খেলতে। কখনও হঠাৎ খুঁজে পাওয়া স্পটে, কখনও জঙ্গলে, কখনও বা পাশের মানুষকেই ঠিক করে দেখা যায় না এমন কুয়াশার মধ্যে। আমরা যখন জোরপোখড়ি পৌঁছলাম সেখানে খুব কুয়াশা। দুপুরেই যেন অন্ধকার নেমে এসেছে। বাংলোতে কেয়ার টেকার ছোট্ট দোকান খুলে বসে আছে। সেখানে মোমো খাওয়া হল কিন্তু ছবি তোলা হল না বৃষ্টিতে। আবার গাড়ি চলতে শুরু করল। খাঁড়াই পথ ধরে গাড়ি চলছে। দূরের জিনিস ঝাপসা। একপাশে জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়, একপাশে খাদ। এমনই একটি জঙ্গলের সামনে কিছু লোককে আগুন পোহাতে দেখে থামল গাড়ি। ইয়া লম্বা গাছ আকাশ ছুঁয়েছে। উপরে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে ঝাপসা হয়ে আসে চোখ। মেঘ আর কুয়াশা মিলে মিশে মায়া বুনেছে যেন চারদিকে। ঠান্ডাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জঙ্গলের ভিতর নিরিবিলিতে অনেক পোজ দিলাম। এমন করে জঙ্গলকে পেলাম সেই প্রথম।
আমাদের শেষ গন্তব্য মানেভঞ্জন। সেখানে পাওয়ার আশা কিছু নেই। কিন্তু নাম করে যখন বেরোনো হয়েছে যাওয়া হল। যখন নামলাম কুয়াশা আরো জাঁকিয়ে বসেছে। পাশের লোককে দেখা যায় না। জোলো হাওয়ায় চারপাশ স্যাঁতসেঁতে। যে পাহাড়ের ভ্যালি দেখতে এখানে আসা সে সব কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়েছে। একটা পাহাড়ি কুকুর আদরের আশায় পায়ে পায়ে ঘুরছে। ভিসিবিলিটি 10%. পেট জানান দিল খুব খিদে। অগত্যা ধোঁয়া ওঠা ম্যাগি। ছবি তোলার সাধ তখন ঠান্ডায় চাপা পড়েছে। সেদিনের শেষ শাটার মেরে সুতীর্থ দা বলল, ‘চল অনেক ছবি হয়েছে’। হেসে ফেল্লাম। হোটেল-এ ফিরে ফ্রেশ হয়ে বৃষ্টি ভেজা শেষ রাত উপভোগ করা হল জমিয়ে।
পরদিন ফেরা। মিরিক হয়ে ফেরার কথা। ট্রেনের টিকিট কনফার্ম হয়নি তখনও। এক বন্ধুর সুবাদে সে ব্যবস্থা হল। কিন্তু আমাদের গোছ-গাছ, খাওয়া-দাওয়া সেরে বেরোতে বেরোতে দেরি হল খানিক। যে পথ পাঙ্খাবাড়ি রোড দিয়ে গেলে তিন ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায়, তা মিরিক হয়ে গেলে চার-সাড়ে চার ঘণ্টা লাগেই। দার্জিলিং মেল মিস হতে পারে তাই চা-বাগান দেখতে দেখতে ফেরার ইচ্ছে বাদ দিলাম। সেবক রোড-এ পৌঁছে দুপাশে চা-বাগান। নেমে পড়া হল শেষ স্পট-এ। শেষ বিকেলের আলোয় ছবি উঠল আবার। সফরের শেষ ছবি।
ভালোলাগা আর মন কেমন মেশানো একটা মন নিয়ে গাড়িতে চেপে বসলাম। পাওয়া না পাওয়া, অন্যরকম পাওয়া, এসব মিলে মনে রাখার মতো দার্জিলিং সফর হল আমাদের। কটা মানুষ, তাদের স্বপ্ন আর একটা স্বপ্নের শহর হাত ধরাধরি করে একটা সত্যিকার গল্প লিখল এই সফরে। সেখানে পাহাড়ি পথ, চা বাগান, কুয়াশায় ঘেরা জঙ্গল, কবরস্থান বা ভুতুড়ে হোটেল, সব মিলে মিশে একাকার। যেখানে স্মৃতির উড়োজাহাজে চড়ে বেড়িয়ে আসা যায় বার বার।
**সব ছবি সুতীর্থ বাসু-র তোলা।
Instagram link-
https://instagram.com/sutirthab?igshid=31y172qx7fjq